বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি হলে যা করবেন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানির ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। আর এ হয়রানির সবচেয়ে শিকার হন মধ্যপ্রাচেসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী শ্রমিকেরা। অনেক সময়েই অভিযোগ উঠেছে লেগেজ বা ব্যাগ থেকে মালামাল হারানোর। যার জন্য বিমানবন্দরটির যাত্রী সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

সম্প্রতি এ সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা যে কোনো ধরণের হয়রানি বা ভোক্তা অধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযোগ জানাতে পারবেন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে। এজন্য মুঠো ফোন, ফেসবুক পেজে বিস্তারিত জানিয়ে মেসেজ করে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে বিমানবন্দর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যে কোনো ধরণের অভিযোগ জানাতে পারবেন যাত্রীরা।

১২- ১৮ মে বিমানবন্দর সিভিল এভিয়েশন যাত্রী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে এ ধরণের তথ্য দিয়ে ব্যনার লাগানো হয় বন্দরের বিভিন্ন স্থানে।

মুঠো ফোন নম্বরটি হলো- ০১৩০৪০৫০৬০৩, ফেসবুক পেজ- Magistrates All Airports of Babgladesh ( https://www.facebook.com/AirportMasgistrate), ই-মেইল- airport.magistrate.bd@gmail.com

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের এক কর্মকর্তা বাংলা’কে বলেন, ‘এই সেবা আমাদের অনেক আগে থেকেই চালু আছে। যাত্রীদের স্বার্থে এবারের সেবা সপ্তাহে আমরা তা ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যাত্রীরা যে কোনো ধরণের হয়রানির শিকার হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে এর মাধ্যমে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রধান সেবা হচ্ছে যাত্রীদের লেগেজ থেকে মালামাল কমে যাওয়া বা কাটা-ছেঁড়া সংক্রান্ত অভিযোগের সুরাহা করা। এছাড়াও কোনো খাবারের দোকানে খাবারের দোকানে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে পণ্য বা খাবারের দাম বেশি রাখলে কেউ অভিযোগ জানালে আমরা ব্যবস্থা নেই। কোনো বিমান কম্পানি যাত্রীর বোডিং ডিনাই করলে আমাদের জানালে আমার ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আর কোনো কারণে লেগেজ বা ব্যাগ পাওয়া না গেলে দেশি যাত্রীদের ৪০০ থেকে ৪৫০ ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। আর বিদেশি যাত্রীদের ক্ষেত্রে এমন হলে ক্ষতিপূরণের পরিমানটা আরো বেশি।’

ওই কর্মকর্তা আরো বলেন ‘এছাড়া লেট বিহাইন্ড সেবা চালু আছে। মূলত কোনো কারণে যাত্রী আগে আসলেও তার লেগেজ বা মালামাল না পৌঁছালে তাকে নেট বিহাইন্ড বলে। সেক্ষেত্রে মালামাল ওই কম্পানি নিজ দায়িত্বে ভুক্তোভোগী যাত্রীদের বাসায় পৌঁছে দেয়। অক্টোবর ২০১৮ সাল থেকে আমার এই সেবা চালু করেছি।’